টমেটোর পাতা কোকড়ানো রোগ একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত সমস্যা। জেনে নিন এর কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়।

রোগ পরিচিতি: 

টমেটো বাংলাদেশের একটি অন‌্যতম সবজি। পাতা কোকড়ানো রোগ টমেটোর একটি অন‌্যতম রোগ। টমেটোর পাতা কোকড়ানো রোগ ভাইরাস এর আক্রমণে হয়ে থাকে। এ রোগের বিস্তার হয় সাদা মাছি নামক পোকার আক্রমণে। সাদা মাছির আক্রমণে রোগটি অসুস্থ গাছ হতে সুস্থ গাছে সংক্রমিত হয়। 

রোগের লক্ষণ: 

গাছ খর্বাকৃতির হয়ে যায়। পাতা পীতবর্ণ হয়। পাতার গায়ে ঢেউয়ের মত ভাঁজ সৃষ্টি হয় ও পাতা ভীষণভাবে কুকড়িয়ে যায়। পাতার কিনারা থেকে মধ‌্যশিরার দিকে গুটিয়ে যায়। আক্রান্ত গাছের ডগা ছোট ছোট পাতা গুচ্ছ আকার ধারণ করে। পাতা খসখসে হয়ে শিরাগুলো স্বচ্ছ হলুদ হয়ে কুকড়িয়ে যায়। বয়ষ্ক কোকড়ানো পাতা পুরু ও মচমচে হয়ে যায়। আক্রমণের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পাতা মরে যায়। গাছে অতিরিক্ত শাখা হয়। গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হয়। ফুল এবং ফলের ফলন অতি মাত্রায় কমে যায়। আগাম আক্রমণ হলে ফলন একেবারেই হয় না। 

সমন্বিত বালাই ব‌্যবস্থাপনা:  

  • টমেটোর জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। 
  • রোগাক্রান্ত চারা লাগানো যাবে না। 
  • সুস্থ গাছ থেকে পরবর্তী মৌসুমের জন‌্য বীজ সংগ্রহ করতে হবে। 
  • ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত (প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৪০-৫০ টি ছিদ্র) নাইলনের নেট দিয়ে বীজতলা ঢেকে চারা উৎপাদন করতে হবে। 
  • চারা লাগানোর এক সপ্তাহ পর থেকে ফুল আসা পর্যন্ত ১৫ দিন পর পর কমপক্ষে ২ বার যেকোন স্পর্শ জাতীয় বিষ যেমন- ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের অ‌্যাডমায়ার ০.৫ মিলি/লিটার পানিতে অথবা ইমিটাফ ১২৫ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে সাদা মাছি দমন করতে হবে।
0 CommentsClose Comments

Leave a comment