ভূট্টার মাজরা পোকার আক্রমণ ফসলের বড় ক্ষতি করে। এই আর্টিকেলে জানুন এর লক্ষণ, দমন পদ্ধতি ও প্রতিরোধের আধুনিক কৌশল।

পোকা পরিচিতি:
মাজরা পোকা ভূট্টার ক্ষতিকর বালাই। এর বৈজ্ঞানিক নাম Chilo partellus, পরিার Pyralidae এবং বর্গ Lepidoptera। পূর্ণবয়ষ্ক পোকা ৪ সে.মি. লম্বা, হালকা গোলাপী বর্ণের এবং পিঠে কালো দাগ বিষিষ্ট। এরা পাতার নিচে মধ্য শিরা বরাবর সাদা রঙের ডিম পড়ে এবং ডিমগুলো মোমের আবরণ দিয়ে ঢেকে ফেলে। ২-৫ দিনের মধ্যে ডিমগুলো ফুটে শুককীট বের হয়। এরপর এরা কান্ডে প্রবেশ করে এবং কান্ডেরভিতরের টিসু খেতে থাকে।
ক্ষতির প্রকৃতি:
এরা রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমের ভুট্টাতেই আক্রমণ করে থাকে। কান্ডের গায়ে ছিদ্র অথবা মল দেখে সহজে গাছে পোকার উপস্থিতি সনাক্ত করা যায়। যদি ্এ পোকা কান্ডের আগার দিকে আক্রমণ করে তবে টাসেল উৎপন্ন হয় না। ফলে ফলন মারাত্মক ভাবে কমে যায়। এছাড়া এরা ভুট্টার মোচায় ও আক্রমণ করে ও মোচা খেতে থাকে। এই পোকা কান্ডে ছিদ্র করে ভিতরের টিসু খেয়ে ফেলে, ফলে কান্ড ঢলে পড়ে। এরা পাতায় ও আক্রমণ করে পাতা খেয়ে ফেলে। তবে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করে কান্ডের আগার দিকে আক্রমণের মাধ্যমে।

দমন ব্যবস্থাপনা-
- আলোক ফাঁদ পেতে মথ ধ্বংস করতে হবে।
- চারা অবস্থায় ফেরোমন ফাঁদ ১০ বর্গমিটার দূরত্বে স্থাপন করে এ পোকা দমন করা যায়।
- আক্রান্ত মাঠে বায়োকীটনাশক যেমন স্পিনোসেড (ট্রেসার অথবা সাকসেস) প্রতি ১০ লিটার পানিতে ৪ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
- প্রতি লিটার পানিতে গ্রুপ ২ মিলি মার্শাল ২০ ইসি অথবা ডায়জিনন ৬০ ইসি ভালোভাবে মিশিয়ে স্প্রে করলে এই পোকা দমন করা যায়।
- ফুরাডন ৫জি প্রতি হেক্টরে ২০ কেজি হারে অথবা ৩/৪টি দানা প্রতি গাছের উপরিভাগে এমনভাবে প্রয়োগ করতে হবে যেন দানাগুলো কান্ড এবং পাতার মাঝে থাকে।